নদী দূষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মানুষ-হাতি সংঘাত মোকাবিলায় এডিবির সহযোগিতা চেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি দেশের আট বিভাগের আটটি প্রধান নদীর পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর পরিষ্কার কার্যক্রমে এডিবির অগ্রাধিকারমূলক সহযোগিতা কামনা করেন।
বিজ্ঞাপন
রোববার (০৫ জানুয়ারি) এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জং বন অধিদফতরে পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। এসময় উপদেষ্টার তার সহযোগিতা চন।
এছাড়াও সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তিনি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পয়ঃনিষ্কাশন, লবণাক্ততার প্রবেশ, জলাবদ্ধতা ও মানুষ-হাতি সংঘাত মোকাবিলায় এডিবির সহযোগিতা চান।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জং জানান, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলার সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা দেবে এডিবি।
তিনি বলেন, এডিবি বাংলাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনুদানসহ আর্থিক সহায়তা বাড়াবে। তিনি নদী পরিষ্কার প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং নদী পুনরুদ্ধার উদ্যোগগুলোকে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (NAP) অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। এছাড়া, প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ এবং জনপরামর্শ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুগ্ম সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও এডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিইউ/এএস