পৌষের মাঝামাঝি এসে সারাদেশের মতো রাজধানীতেও জেঁকে বসেছে কনকনে শীত। কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। কনকনে শীতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানী ছিল কুয়াশার চাদরে ঢাকা। একই অবস্থা শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালেও। কনকনে শীতে বেড়েছে মানুষের ভোগান্তি। ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে ছিন্নমূল মানুষরা।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও সড়কে শীতার্তদের আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
গতকাল রাতে মগবাজার এলাকায় রেল লাইনের পাশে আগুন জ্বালিয়ে গরমের তাপ নিচ্ছিলেন কয়েকজন শিশু। তাদের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা জানান, আমরা কয়েকজন বন্ধু বাইরে আসছি। প্রচণ্ড শীত লাগার কারণে আগুন জ্বালিয়ে গরমের তাপ নিচ্ছি। প্রচণ্ড শীত থাকলেও আগুন জ্বালানোর পরে কিছুটা ভালো লাগছে।
মালিবাগ এলাকায় চা খাচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। তাদের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাদের মধ্যে মুস্তাইন বিল্লা নামে একজন বলেন, মনে হচ্ছে গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই বেশি শীত পড়েছে। বাহিরে যেমন বাতাস তেমন শীত। এর মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। সারাদিনে শীতের জন্য বাসা থেকে বের হয়নি। সন্ধ্যার পরে চা খাওয়ার জন্য একটু বের হয়েছে এখন আবার চলে যাব। এতটাই শীত যে গরম চা একেবারে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। শীতের প্রকোপ এতটাই যে গরম চা গরম মনে হয় না, এক চুমুকেই এক কাপ চা খাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার এলাকায় রিকশাচালক মো. রবিউল সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, আজকে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। এই বছরের মধ্যে আজকে ঢাকাতে বেশি শীত। প্রচণ্ড শীত থাকার পরেও জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হতে হয়েছে। বাইরে বের না হলে কি খাব, বউ বাচ্চাদেরকে খাবার দেবে। স্বাভাবিক দিনের থেকে আজকে অতিরিক্ত শীত থাকায় আজকে রোজগার কিছুটা কম হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে আগামী পাঁচদিনের মধ্যে দেশের উত্তরাংশে হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রাও কমতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এমই/এএস