পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের লক্ষ্যে আগামী জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানে (এনডিসি) ভূমি, বন ও জলাভূমি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে, তিনি উল্লেখ করেছেন, এনডিসির লক্ষ্য অর্জনে বন উজাড়, ভূমির অবক্ষয়সহ নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা মোকাবিলা করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে এনডিসির আলোকে কৃষি, বন ও অন্যান্য ভূমি থেকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
রিজওয়ানা হাসান বলেন, এসব বাধা দূর করতে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পদ্ধতি গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি আরও জানান, বন উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন বনায়ন ও বনভূমির অবৈধ বরাদ্দ বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এদিকে, প্রশাসন একাডেমির ৭০০ একর এবং বাফুফের জন্য বরাদ্দকৃত ২০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে। সাবেক এক মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ভাইয়ের নামে বরাদ্দকৃত ১৫৬ একর বনভূমির বরাদ্দ বাতিলের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ব্যক্তিগত পর্যায়েও জ্বালানি সাশ্রয়ী হতে হবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন খুশী কবির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজের ড. দ্বিজেন মল্লিক। এছাড়া, প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ড. নাজিম উদ্দিন, সেন্টার ফর নলেজের গবেষক গাজী মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী, ইউএনডিপি বাংলাদেশের লজিক প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর এ.কে.এম. আজাদ রহমান এবং বিসিএএসের সিনিয়র ফেলো খন্দকার মাঈনউদ্দীন প্রমুখ।
বিইউ/এইউ
