শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২২, ০৫:৩১ পিএম

শেয়ার করুন:

শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান
অনুষ্ঠিত কর্মশালার একটি মুহূর্ত | ছবি: ঢাকা মেইল

শব্দদূষণ একটি নীরব ঘাতক। দ্রুত নগরায়নের ফলে শহর এলাকায় শব্দদূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব দেশের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরীর হক।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে নটরডেম কলেজের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আয়োজিত শব্দ সচেতনতা প্রশিক্ষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


নওরীর হক বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। আমরা প্রতিনিয়ত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারকারী সকল যানবাহনকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তোমরা শব্দদূষণের ক্ষতিকর বিষয় সম্পর্কে জানলে। শুধু আইন প্রয়োগ করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সকলের সমন্বয়েই এই নীরব ঘাতক শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

পরিবেশ অধিদফতরের এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, দেশের পাঠ্যপুস্তকে শব্দদূষণের ক্ষতিকর বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি আইন যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমেও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ হেমন্ত পিউস রোজারিও বলেন, অতিরিক্ত যানবাহনের ফলে নগর এলাকায় শব্দদূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে শহরে বসবাসরত জনগণ প্রতিনিয়ত নানা ধরণের ঝুঁকিতে রয়েছে। অতিরিক্ত শব্দদূষণের কারণে নগরের জনগণ যেমন শ্রবণক্ষমতা হারাচ্ছে, সেই সঙ্গে মানসিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে অতিরিক্ত শব্দের কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


অধ্যক্ষ হেমন্ত পিউস রোজারিও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ির হর্ন বাজানা নিষেধ থাকলেও অপ্রয়োজনে চালকগণ হর্ন বাজিয়ে থাকেন। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় বিঘ্ন ঘটে। এ সময় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নটরডেম কলেজ যে কোনো সহযোগিতা প্রদান করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

Notordam College

পরিবেশ অধিদফতর আয়োজিত ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ আয়োজিত ওই প্রশিক্ষণে নটরডেম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক শহিদুল হাসানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ হেমন্ত পিউস রোজারিও।

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে কলেজ কর্তৃপক্ষ আশ্বাস প্রদান করেন তাদের সকল কার্যক্রমে শব্দদূষণ বিষয়ে সচেতন থাকবেন এবং সর্বদা শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রাখবেন। একই সঙ্গে কর্মশালার আয়োজনের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের মাধ্যমে সময় উপযোগী এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

কর্মশালায় প্রশিক্ষণের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ফজলে এলাহী। এছাড়া রিসোর্স পারসন হিসেবে অন্যদের মধ্যে নটরডেম কলেজ উপাধ্যক্ষ ফাদার সংকর লেনার্ড রোজারিও, পদার্থ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক তিতাস ভিনসেন্ট রোজারিও, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিপ্লব কুমার দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএম/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর