সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

সিলেটে স্বস্তি, উত্তরাঞ্চলে বন্যার অবনতির শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

সিলেটে স্বস্তি, উত্তরাঞ্চলে বন্যার অবনতির শঙ্কা
সিলেটে কমতে শুরু করেছে পানি। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় পানি কমেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার (২১ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে কিছু কিছু পয়েন্টে সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে। পাশাপাশি গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

Flood4

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এরমধ্যে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নেত্রকোনা জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে ও সিলেট, সুনামগঞ্জ জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া আগামী ৭২ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে এবং রংপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিলেটে শুক্রবার বৃষ্টি হয়নি। রোদ ওঠায় জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

বাংলাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পৌনে ৮ লাখ শিশু: ইউনিসেফ

বন্যায় বিপর্যস্ত জনজীবন, ত্রাণের জন্য হাহাকার

শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।

সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৯টায় প্রবাহিত হচ্ছিল বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। আগের দিন এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে বৃহস্পতিবার পানি বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।

Flood3

একইভাবে কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গতকাল এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপরে ছিল বলে দীপক জানান।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৩টি ওয়ার্ডসহ জেলার ১৩টি উপজেলার ১৩০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৮ জন বাসিন্দা। এ অবস্থায় জেলার ১৩টি উপজেলায় ৬৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬১ আশ্রয়কেন্দ্রে ২১ হাজার ৭৮৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর