বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় দক্ষতা অর্জন জরুরি: প্রতিমন্ত্রী এনামুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২, ০৬:৩৯ পিএম

শেয়ার করুন:

দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় দক্ষতা অর্জন জরুরি: প্রতিমন্ত্রী এনামুর

দেশি বিনিয়োগ আরও নিরাপদ ও উৎসাহিতকরণে দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় দক্ষতা অর্জন খুবই জরুরি বলে মনে করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান। এক্ষেত্রে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় একান্ত অপরিহার্য বলে মনে করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের বেসরকারি খাতের অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকা চেম্বারের সহায়তায় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে “প্রাইভেট সেক্টর ইমারজেন্সি অপরাশেন সেন্টার” স্থাপন করা হয়েছে, যেটি আমাদের বেসরকারিখাতের দক্ষতা আরও সমৃদ্ধ করবে।


বিজ্ঞাপন


এনামুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে তার মন্ত্রণালয় ‘স্টেট অফ দি আর্থ ন্যাশনাল ইমাজেন্সি অপরাশেন সেন্টার’ স্থাপন করেছে, যার মাধ্যমে ঝুঁকি মোকাবেলায় ডাটাবেজ প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। তিনি এ কার্যক্রমে তরুণ জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্তকরণের ওপর জোরারোপ করেন এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং সুপার প্রজেক্ট কনসোরটিয়াম যৌথভাবে আয়োজিত “দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বেসরকারিখাতের অংশগ্রহণ” শীর্ষক জাতীয় সিম্পোজিয়াম এবং “প্রাইভেট সেক্টর ইমারজেন্সি অপরাশেন সেন্টার”-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এনামুর রহমান। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেন এল ডেনেইগা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিভিল প্রটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়াম এইড (ইকো), বাংলাদেশের প্রধান অ্যানা অরল্যানডিনি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেন এল ডেনেইগা জানান, ঝুঁকি মোকাবেলায় তাঁর দেশ জাতীয় বাজেটের প্রায় ৫% বরাদ্দ দিয়ে থাকে এবং ২০১৮ সালে সারা পৃথিবীতে ১ম বারের মত ফিলিপাইন “প্রাইভেট সেক্টর ইমারজেন্সি অপরাশেন সেন্টার” স্থাপন করেছে।


বিজ্ঞাপন


রাষ্ট্রদূত বলেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দক্ষতা অর্জনে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিবৃন্দের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং এক্ষেত্রে তরুণ জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্তকরণেরও দাবি জানান।

ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন সিভিল প্রটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়াম এইড (ইকো), বাংলাদেশের প্রধান অ্যানা অরল্যানডিনি বলেন, টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিতকল্পে দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রতিটি দেশকেই তাদের নিজস্ব কাঠামোর সঙ্গে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্তকরণ খুবই অপরিহার্য। 

অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাব খুবই বেশি। এ ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের বেসরকারি খাতকে কার্যকর ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন।

ডিসিসিআই সভাপতি জানান, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সহায়তায় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ঢাকা চেম্বার “প্রাইভেট সেক্টর ইমারজেন্সি অপরাশেন সেন্টার” স্থাপন করেছে, যার মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতের পাশাপাশি অন্যান্যরা দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবে। এছাড়াও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি। 

অ্যাকশনএইড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর বলেন, বেসরকারি খাতের স্বার্থে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা সম্প্রসারণে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্ত অপরিহার্য, যা আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে আরও টেকসই করতে ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া সিম্পোজিয়ামে ‘রিস্ক ফাইন্যান্সিং স্ট্রাটেজি’, ‘দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার’ এবং ‘পিইওসি-এর কার্যকরে বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক তিনটি প্যারালাল সেশনের আলোচনায় সরকার ও বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিবৃন্দসহ দুর্যোগ খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

আলোচকরা বেসরকারি খাতের টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনীতির সমৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখতে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য ডাটাবেইজ প্রণয়ন, গবেষণা পরিচালনা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ, বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণে সহজশর্তে টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ এবং নীতি সহায়তা প্রদানের ওপর জোরারোপ করেন।

টিএ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর