শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সুন্দরবন রক্ষায় ১৫ সুপারিশ বাপার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

সুন্দরবন রক্ষায় ১৫ সুপারিশ বাপার

অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে সুন্দরবন বাঁচাতে ১৫ সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। সংগঠনটি বলছে, গত ২২ বছরে সুন্দরবনে ৩২ বার আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়েছে শতাধিক একর বনভূমি। কঠোর মনিটরিংয়ের অভাবে সুন্দরবনে একের পর এক আগুনে বন পুড়ে ছাই হচ্ছে।

বুধবার (২২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব কথা জানান। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন বিভাগের অধ্যাপক ও বাপা'র জাতীয় কমিটির সদস্য ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী।


বিজ্ঞাপন


লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুন্দরবনের ঐতিহ্য ধরে রাখতে গুন্মজাতীয় উদ্ভিদ যেমন- শন, নলখাগড়া এবং গোলপাতার অবদান অন্যতম। কিন্তু আমরা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে পারছি না। আমরা নিজ হাতেই বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংস করছি যেমন- নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন থেকে শুরু করে বাঘ নিধন এবং হরিণ শিকার করে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করছি আইন অমান্য করে।

বক্তারা বলেন, বার বার সুন্দর বনে আগুন লাগছে নেভাতে সক্ষম হচ্ছি না। গত ২২ বছরে সংরক্ষিত এই ম্যানগ্রোভ বনে ৩২ বার আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়েছে শতাধিক একর বনভূমি। কঠোর মনিটরিংয়ের অভাবে সুন্দর বনে একের পর এক আগুনে বন পুড়ে ছাই হচ্ছে। আমরা বলতে চাই সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। নীতিনির্ধারকদের সুন্দরবন রক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে।

অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে সুন্দরবনকে বাঁচাতে ১৫টি সুপারিশ তুলে ধরে সংগঠনটি। সুপারিশসমূহ—

১। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে ও অগ্নিকাণ্ড বন্ধে বনবিভাগ, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, সুন্দরবন বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, সংবাদকর্মী, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ'র সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


২। অগ্নিকাণ্ডে বিগত দিনের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

৩। সুন্দরবনের লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করতে হবে।

৪। বনের মধ্যে অবাধ যাতায়াত বন্ধ করতে হবে।

৫। সুন্দরবন রক্ষায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সচেতন করতে হবে।

৬। ইআইএ ছাড়া সুন্দরবনের মধ্যে অপরিকল্পিত খাল খনন বন্ধ করতে হবে।

৭। বন বিভাগ কর্তৃক মৌয়ালদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করতে হবে।

৮। সুন্দরবন রক্ষায় অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে।

৯। অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

১১। সুন্দরবন রক্ষায় নীতি নির্ধারকদের গুরুত্ব দিতে হবে।

১২। ড্রোন ক্যামেরা, সিসি ক্যামেরাসহ সুন্দরবন রক্ষায় বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

১৩। সুন্দরবনের পরিধিতে, দ্রুত শিল্পায়ন বাড়ানো উচিত নয়।

১৪। উজানের পানির প্রবাহ বাড়াতে হবে।

১৫। সুন্দরবনের উদ্ভিদ ও প্রাণীর টেকসই সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি খুঁজে বের করার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

টিএই/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর