শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

পতিত জমি চাষে সব সহযোগিতা দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২২, ০৭:৩৬ পিএম

শেয়ার করুন:

পতিত জমি চাষে সব সহযোগিতা দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে শেখ হাসিনা সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে হলে চরাঞ্চল, লবণাক্ত এলাকা ও পাহাড়ি জমিকে চাষের আওতায় আনতে হবে। কোনো জমি অনাবাদি রাখা যাবে না। যারা পতিত জমিতে চাষাবাদ করবে তাদেরকে সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হবে। 

রোববার (১৫ মে) সকালে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বারে ও বিএডিসি খামারে সয়াবিন, ভুট্টা ও সূর্যমুখীর মাঠ পরিদর্শন এবং কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ চাষিদের সয়াবিনের মাঠ পরিদর্শনকালে চরাঞ্চলে অবস্থিত অনাবাদি পতিত জমিতে তেল জাতীয় ফসল সয়াবিন, সূর্যমুখী ও সরিষার আবাদ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, তেল জাতীয় ফসল আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি। এ নিয়ে কৃষিবান্ধব শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় বীজ, সার, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণসহ সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

চাষিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, নোয়াখালীর অনাবাদী পতিত জমিগুলোকে আবাদের আওতায় আনতে আউশ ধানের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে আমাদের বিজ্ঞানীরা। আপনারা স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন অধিক ফলনশীল এ জাতগুলো রবি ফসল কর্তনের পরপরই আবাদ করবেন। চাষাবাদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও সহযোগিতা দিতে বিএডিসি বীজ, সার ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। জাতগুলো কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছে। 

তিনি বলেন, লবণাক্ততা উপকূলীয় এলাকার একটি অন্যতম সমস্যা। লবণাক্ত জমিতে চাষোপযোগী জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় লাউ, সীম, তরমুজ, সূর্যমুখী, মিষ্টি আলু ও সয়াবিনের ফলন ভালো হয়। এ ফসলগুলোর ক্রপিং প্যাটার্নে অন্তর্ভুক্ত করে চর এলাকার প্রত্যেকটি জমি আবাদের আওতায় আনতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, আধুনিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি বছর বোরোতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে ধান চাষ হয়েছে। হাওর ও সারাদেশে বৈরী আবহাওয়ায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা সামান্য। বোরোতে আশানুরূপ ফলন পাবো। ফলে চালের দামে প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।


বিজ্ঞাপন


এ সময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, সুগারক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, বিএডিসির সুবর্ণচর প্রকল্পের পরিচালক আজিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিএ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর