মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঢাকার বাতাসে ‘আগুনের ঝাপটা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

ঢাকার বাতাসে ‘আগুনের ঝাপটা’

শনিবার বেলা একটা। আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েদার ডটকম বলছে, এ সময় ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে হাঁপিয়ে উঠেছেন রাজধানীতে বসবাস করা মানুষ।

আবহাওয়ার এমন বৈরী আচরণ আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরও। ফলে সারাদেশে শনিবার থেকে টানা তিন দিনের জন্য ‘হিট এলার্ট’ জারি করেছে সংস্থাটি।


বিজ্ঞাপন


সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ১৯ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তা অনুসরণ করে একেবারে প্রয়োজন না হলে অনেকেই বাইরে বের হচ্ছেন না। শনিবার সপ্তাহের প্রথম দিনে ঢাকার রাস্তাঘাট স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে।

তবে কাজের প্রয়োজনে অনেকেই বাইরে বের হয়েছেন। পাঠাও চালক জাহাঙ্গীর হাওলাদার ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে জানান, জীবিকার তাগিদে তীব্র গরমেও বের হতে হয়েছে তাকে।

তিনি বলেন, ‘শরীরে মনে হয় আগুনের ঝাপটা লাগছে। মনে হচ্ছে, আগুনের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু তারপরও বাইরে বের হওয়া লাগছে।’


বিজ্ঞাপন


10

একই বক্তব্য বাড্ডা এলাকার চা বিক্রেতা সানাউল্লাহ মিয়ার। চল্লিশোর্ধ এই চা বিক্রেতা ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমার জীবনে এত গরম দেখি নাই। রোদ মনে আগুন।’

রোদে আগুনে ঝরলেও জীবিকার তাগিদে তিন চাকার রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন হাজারো মানুষ। স্বাস্থ্যঝুঁকি মাথায় নিয়ে রাজধানীর সড়কে জীবিকার চাকা ঘুরানোর তীব্র চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই শ্রেণির মানুষেরা।

একই অবস্থা বাস-লেগুনা চালক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক, ট্রাফিক সিগন্যাল পয়েন্টের হকার, ফুটপাতের বিক্রেতাসহ অন্যান্য দিনমজুর শ্রেণির মানুষের।

আবার রাস্তার পাশের বিভিন্ন দোকানে কর্মরত কর্মীদের অনেকেই নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছেন সূর্যের তীব্র তাপে। মোহাম্মদপুর রিং রোডের থাই কিং চা নামে একটি জুসবারের কর্মী জুম্মন হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম ভাই। চাকরি করি। আসতে তো হবেই। কিছু করার নাই। এমন গরম আগে কখনোই দেখি নাই।’

জুম্মন জানান, এই গরমে হাঁপিয়ে ওঠা নগরবাসী একটু স্বস্তি পেতে আসেন তার দোকানেই। গরম থেকে রেহাই পেতে পান করেন ঠান্ডা জুস।

কারই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর