শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

‘বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় দ্বীপ এবং নদীর চরে বসবাসকারী বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জলবায়ুজনিত দুর্যোগের প্রস্তুতি এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপক উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে স্থানীয় জনসাধারণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। এর ফলে রংপুর ও ভোলা জেলার চরে বসবাসকারী জনসাধারণ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে।

বুধবার (২৭ মার্চ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি এবং বন্যা মোকাবিলা করার জন্য ৯০০টি জলবায়ুসহনশীল ঘর মেরামত করা হবে। ৫০০ পরিবারের জন্য রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৩০টি সোলার ন্যানো-গ্রিড এবং ২০টি ক্ষুদ্র দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, উপকূলীয় ও নদী চর এলাকার ইকোসিস্টেমভিত্তিক অভিযোজন এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও মজবুত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। নির্বাচিত দ্বীপগুলির জন্য জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি মানচিত্র তৈরি করা হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতির সরঞ্জাম বিতরণ করা হবে। জরুরি উদ্ধার নৌযান বা ভাসমান অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হবে। স্থানীয় মানুষের জন্য জলবায়ু সহনশীল বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষকদের জলবায়ু-সহনশীল কৃষি অনুশীলনের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সৌরচালিত হিমাগার ও সেচ পাম্প স্থাপন করা হবে। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের তাদের নিজ নিজ কর্মকাণ্ডে জলবায়ু ঝুঁকি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৪টি জলবায়ু অভিযোজন শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। জলবায়ু সচেতনতা প্রচার অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। পরিবেশমন্ত্রী প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন যথাসময়ে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।

টিএই/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর